শূন্যের নিচে তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক গত ৬ই মার্চ থেকে তাঁর ‘আমরণ অনশন’’ শুরু করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সেটি ১৬তম দিনে পৌঁছালো। তার সাথে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে আরো প্রায় ৩০০লাদাখবাসী। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির জন্য সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে সোনম ওয়াংচুক লেহতে এই অনশনে বসেছেন।
এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতে কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) মঙ্গলবার অর্ধদিবসের সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। লাদাখের যৌথ প্রতিনিধিদের সাথে কেন্দ্র সরকারের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরে এই কঠিন তাপমাত্রা সত্ত্বেও ওয়াংচুক তাঁর অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
সোনম ওয়াংচুক লাদাখের দাবি বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য একটি ‘সীমান্ত পদযাত্রা’ পরিকল্পনাও করেছেন। গত মঙ্গলবার ওয়াংচুক বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের দক্ষিণের জমি হারাচ্ছি ভারতের শিল্পকারখানাগুলোর কাছে। আর আমাদের উত্তরের জমিগুলো দখল করে নিচ্ছে চীন। তাই বাস্তবতা তুলে ধরতে আমরা শীঘ্রই ১০,০০০ লাদাখি কৃষক ও পশুপালকদের নিয়ে চীন ভারত সীমান্তে একটি পদযাত্রার পরিকল্পনা করছি।”
সোনম ওয়াংচুকের মূল চারটি দাবি হলো, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং অঞ্চলটিতে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল বাস্তবায়ন, লেহ ও কার্গিল জেলার জন্য পৃথক লোকসভা আসন, লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন, হিমালয় অঞ্চলের প্রকৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন শিল্প-কারখানার বিরুদ্ধে সুরক্ষা।
ওয়াংচুক অভিযোগ করেন যে চার বছর বিলম্বের পর কেন্দ্রসরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সরাসরি অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন যে এটি একটি সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা। ভবিষ্যতের সরকার ও নির্বাচনের জন্য একটি খারাপ নজির স্থাপন করবে।
Source: hindustantimes.com